এমনিতেই সমুদ্র সৈকত আমার খুব প্রিয়
মসৃণ বালিতে লাল কাকড়ার আল্পনা, দল বেঁধে ওদের ছুটে চলা, ঝাউ গাছের পাতায় বাতাসের আদরে দারুণ সুরের সৃষ্টি , দিন শেষ সূর্যাস্ত এ সব খুব ভাল লাগে...
ইদানিং সী-ফিশিং এ আগ্রহ বেড়ে যাওয়ায় সৈকতের প্রতি ভালবাসা আরো বেড়ে যাচ্ছে....
আমাদের দেশের দক্ষিণ অঞ্চলে বিশাল এলেকা জুড়ে বঙ্গোপ সাগর আছে সংশ্লিষ্ট এলেকার শিকারী বন্ধুগণ যদি বঙ্গোপ সাগরের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে পারেন শিকারে সফল হতে পারেন তা হলে প্রথমতঃ পুকুরে টিকেট কেটে মাছ শিকার অনেকাংশে কম করা যাবে যাবে, সাগরে কোন চারের প্রয়োজন হয়না, ল্যাপিং এর প্রয়োজন হয়না, বাহারী কোন টোপের ও প্রয়োজন হয়না, পিপড়ার ড়িমের প্রয়োজন হয়না, এই কারণে পুকুর দিঘির তুলনায় শিকারীর ৯৮% টাকা কম খরচ হবে....
উদাহরণ হিসেবে বলছি আজ বিকেলে আমরা তিন বন্ধু প্রাই ১৫ কিলোমিটার ভ্রমণ করে বঙ্গোপ সাগরে শিকার করেছি আমাদের সর্বমোট খরচ হয়েছে ৪০০৳
আমার ধারণা এত কম খরচে শিকার করা যায় এটা অনেকেই বিশ্বাস করতে চাইবেন না তবে আমি সত্য কথাই বলছি সৈকত থেকে "বাইট" ফিশিং এ তেমন খরচ নেই।
তবে লাইন একটু মোটা এবং শক্ত ব্যাবহার করতে হবে ভারী সীসা প্রয়োজন হবে, বড়সী সেটআপ ও সহজ একটি লাইনে বিভিন্ন সাইজের ৩/৪ টা হুক থাকবে ৩/৪ ইন্ঞ্ছি পর পর নিছে সীসা থাকবে, টোপ হিসেবে চিংড়ি /সামুদ্রিক ছোট মাছ হলে চলে।
এত কথা বলার উদ্দেশ্য হচ্ছে সৌখীন শিকারী গণ লোনা জলে ফ্রীতে শিকারের বিশাল সম্ভাবনাকে যেন কাজে লাগাতে পারেন অথবা ভ্রমণে ও শিকার করে সময়টাকে আরও আনন্দময় করে তুলতে পারেন।
এ ছাড়া ও একজন সৌখিন শিকারী হিসেবে আপনাকে দেশের অভ্যান্তরে সকল পরিবেশে শিকারের অভিজ্ঞতা অর্জন করার চেষ্টা করতে হবে।
ছবীতে শিকারের স্হানঃ বাঁশখালী উপজেলার ৩ নং খাঁন খানাবাদ ইউনিয়নের "কদম রসুল সৈকত"।
লেখক- রবিউল হাসান সাপলা এডমিন- Bangladesh angling forum (BAF)
Comments
Post a Comment